শাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃঃ অবশেষে স্বাভাবিক হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। আগামীকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খোলার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হবে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাবিপ্রবির সিন্ডিকেট সদস্যদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার বিষয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইশফাকুল হোসেন।তিনি জানান, আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। তার পরেরদিন থেকে যথারীতি অনলাইনে ক্লাস শুরু হবে এবং সরকারের কোনো বিধিনিষেধ না থাকলে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম চলবে।এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। সেই সভার ২৮ দিন পর আজ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
শাবিপ্রবির চলমান সংকট নিরসনে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটে যান শিক্ষামন্ত্রী। পরে বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ইউজিসির সচিব ফেরদৌস আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ৮টি দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।পরবর্তীতে এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ভিসিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শাবির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার একদিন পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বিভিন্ন ঘটনায় আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানালে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রেস ব্রিফিং করে শাবির আন্দোলন প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা। প্রেস ব্রিফিংকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার আশাবাদের এক দিন পরেই সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়।
বিএ/১৪ ফেব্রুয়ারি